,

দেবহাটায় প্রায় ২ টন অপরিপক্ক আম জব্দ, জনসম্মুখে বিনষ্ট

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতি মুনফার আশায় অপরিপক্ক আম পাঁকিয়ে ঢাকায় পাঠানোর পূর্বকালে মোবাইল কোর্টে জব্দ করা হয়েছে। রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী উপজেলার কামটা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত কয়েকটি বাড়ি ও আমের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম পেড়ে তা বিক্রির জন্য অবৈধ পন্থায় পাঁকানোর বিষয়ে সত্যতা মেলে। অভিযানে প্রায় ২ টন আম জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে জব্দকরা ক্যামিকেল যুক্ত আম জনসম্মুখে বিনষ্ট করে প্রশাসন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শওকত ওসমান, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, স্থানীয় ইউপি সদস্য নির্মল কুমার মন্ডল ও মোনায়েম হোসেন। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় কামটা গ্রামের অস্বাধু আম ব্যবসায়ীরা।
তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, আগামী ১২ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখী সহ স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ১ জুন থেকে ল্যাংড়া এবং ১৫ জুন থেকে অম্রপলি আম পাড়া ও প্রাকৃতিক ভাবে পাঁকানো আম বাজারজাত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযান কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, রবিবার ১৬ এপ্রিল ছিল জেলা আম বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা। জেলা প্রশাসকের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে ফেরার সময় খবর পায় কামটা এলাকায় বিপুল পরিমান অপরিপক্ক আম প্রস্তুত করা হচ্ছে। খবর পেয়ে তৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে কাঁচা ও আধাপাঁকা জব্দ করা হয়। যেসব আম জব্দ করা হয়েছে তার ভিতরের আঁঠি এখনো পুষ্ট হয়নি। তাছাড়া জব্দকৃত আম জনসম্মুখে গাড়ির চাকায় পিষে এবং কেটে নষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট না হয় সেজন্য এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *